মেশিনকে কি আসলেই ”লার্নিং” করা পচিবল?
সাধারণত আর্থার স্যামুয়েল নামক একজন আমেরিকান বিজ্ঞানী “মেশিন লার্নিং” টার্মটা সবার আগে ইউস করেন।তাঁকে এ-আই ও কম্পিউটার গেমিংয়ের উদ্বাবক ও বলা হয়। তার তৈরি “স্যামুয়েল চেকার্স প্লেয়িং” প্রোগ্রামটি বিশ্বের প্রথম প্রোগ্রাম।যেটা নিজে নিজে খেলা শিখতে পারার ক্ষমতা রাখতো।
মেশিনকে দু’ধরণের অ্যালগরিদম দিয়ে লানিং করানো হয়:
1. সুপারভাইজড (Supervised)লার্নিং অ্যালগরিদম
2. আনসুপারভাইজড(Unsupervised)লার্নিং অ্যালগরিদম
সুপারভাইজড মানে হচ্ছে,,কেউ একজনকে কোন কিছু এমনভাবে বুঝায় দেওয়া,শিখিয়ে দেওয়া বা দেখিয়ে দেওয়া যাতে সে পরবর্তিতে সেই কাজটা নিজে নিজে করতে পারে। সুতরাং মেশিন লার্নিয়ের ক্ষেত্রেও সুপারভাইজড লার্নিং অ্যালগরিদম মানে হলো এমন কিছু,যা কম্পিউটারকে মানুষের মত চিন্তা করার ট্রেনিং দেওয়া হয়।আর ট্রেনিংয়ের সময় মেশিনকে পর্যাপ্ত উদাহারণও দিতে হবে।
সহজ একটি উদাহারণ নিই,ধরা যাক আপনি কখনো বাঘ দেখেননি।তাইলে কেউ যদি আপনাকে চিড়িয়াখানায় নিয়ে গিয়ে বলে যে দেখুন ভাই এটিই হলো বাঘ । গায়ে ডোরাকাটা চামড়া,দুটি কান,মুখে হালকা গোঁফ,মাথা মোটা আর পেছনে লেজ আছে।তখন আপনি নিশ্চয় ভালো করে বাঘটিকে দেখবেন।ওর চেহেরা আর যে যে বৈশিষ্টগুলো আছে,সেগুলো মনে রাখার চেষ্টা করবেন।
পরবর্তীতে যদি কেউ আপনাকে কোন একটি প্রাণির ছবি দিয়ে যদি আইডেনটিফাই করতে বলে যে ওই প্রাণিটা বাঘ কিনা,তাইলে আপনি নির্ধিধায় বলে দিতে পারবেন। কারণ আপনার জানা থাকা বাঘের সেই বৈশিষ্টগুলোর সাথে আপনি ওই প্রাণির বৈশিষ্ট মিলাবেন,যদি মিলে যায়,তাহলে বাঘ,অন্যথায় আপনি বলতে পারেন ওটা বাঘ নয়।
এই যে বাঘকে দেখিয়ে আর বাঘের বৈশিষ্ট্য বলে আপনার মস্তিষ্ককে ট্রেনিং দেওয়া হলো বাঘ চেনার জন্য।এরপর আপনাকে যে প্রাণির ছবিই দেওয়া হোক না কেন,আপনি আলাদা করতে পারবেন যে কোনটি বাঘ আর কোনটি বাঘ না।এই টাইপস লার্নিংগুলোকে বলা হয় ক্লাসিফিকেশন প্রবলেম(Classification Problem)।
আরেকটি উদাহারণ দিই,মনে করেন আপনার ফুডপান্ডা বার্গার খুব পছন্দের।যেহেতু আপনি নিয়মিত বার্গার অর্ডার করেন তাই আগে থেকেই আপনার ভিবিন্ন সাইজের বার্গারের দাম (৬ইঞ্চি বার্গার ২০০/- , ৯ইঞ্চি ২৯০/- ,১২ইঞ্চি ৫৮০/-, ১৫ইঞ্চি ৭৯০/-)আপনি আগে থেকেই জানেন।
এখন আপনার বন্ধু যদি আপনাকে জিজ্ঞেস করে - দোস্ত নতুন একটি বার্গার এসেছে শুনলাম,সাইজ ১৪ ইঞ্চি। পুরো চিকেনে ভরপুর।বার্গারটির দাম কত হতে পারে আন্দাজ করে বলতো?তখন আপনি সহজেই বলে দিতে পারবেন যে,দামটি ৬৭৬/- টাকার কাছাকাছি হবে ।এটা বলতে পারার রহস্যটা হলো আপনি ১৫ইঞ্চি আর ১২ইঞ্চি খুব কাছাকাছি,সুতরাং এর দামও কাছাকাছি কোন একটি ভেল্যু হবে।এভাবে আপনাকে যদি ১৬ দামও আস্ক করা হয়,আপনি সেটিও পূর্বের অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারবেন।এই টাইপস প্রবলেমগুলোকে রিগ্রেশন প্রবলেম বলা(Regression Problem)হয়।
আর ক্লাসিফিকেশন প্রবলেম(Classification Problem) এবং রিগ্রেশন প্রবলেম(Regression Problem) দুটিই হলো সুপারভাইসড লার্নিং।
আনসুপারভাইজড লার্নিংয়ে ট্রেনিংয়ের সময় সঠিক উত্তরটি জানিয়ে দেওয়া হয়না।শুধু ট্রেনিংয়ের জন্য ডেটা দেওয়া হয়।সে নিজের মত করে ডেটার মধ্যে বিভিন্ন প্যাটার্ন বা বিভিন্ন ডেটার মধ্যে সামন্জস্য খুঁজে বের করে।সেই সামন্জস্য বা প্যাটার্ন এর উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন গ্রুপে সাজাবে।এই টাইপস প্রবলেমগুলোকে বলা হয় ক্লাস্টারিং প্রবলেম(Clustering Problem)।এটি আনসুপারভাইজড লার্নিংয়ের সব থেকে জনপ্রিয় একটি উদাহারণ।
#মেশিন_লার্নিং #HappyCoding
0 Comments